কোথাও আগুন লাগলে অনেক সময় দেখা যায় ফায়ার ব্রিগেডের পৌঁচ্ছাতে দেরি হয়। ফায়ার ব্রিগেডের এই যে দেরি হয় তার পেছনে রয়েছে অজস্র কারণ, জানতে চাইলে ক্লিক করুন। তার মধ্যে একটি অন্যতম কারণ মিথ্যা ফায়ার কল বা মজার ছলে ফায়ার ব্রিগেড কে ফোন করা।
False Fire Call
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার এন্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস (Westbengal Fire And Emergency Services) পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম দপ্তর। অ্যাম্বুলেন্স, সি.এস.সি, পুলিশ, ডিএমজি বা অন্য কোন এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট এর সাথে যদি তুলনা করা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার ব্রিগেট সবথেকে দ্রুত ক্রিয়াশীল (Quick response) ডিপার্টমেন্ট। এখানে কর্মরত কর্মীরা আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র 15 থেকে 25 সেকেন্ডের মধ্যে প্রয়োজনীয় সাজ সরঞ্জাম নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বেড়ানোর ক্ষমতা রাখে।
এখানে কর্মরত প্রত্যেকটি কর্মী
যথেষ্ট দক্ষ। তারা তাদের
দক্ষতা ও কাজের প্রতি তাদের যে
দায়িত্ববোধ তা প্রতিনিয়ত প্রমাণ
করে চলেছেন। তারই
ফলস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কন্ঠে
তাদের উদ্দেশ্যে বাহবা ধ্বনি বলতে
শোনা যায়।
False Fire Call Charges |
তবে কিছু কিছু অপদার্থ
মানুষ সাময়িক আনন্দ পাওয়ার জন্য
False Fire Call দিয়ে থাকে অর্থাৎ মিথ্যা আগুন
লেগেছে বলে ফায়ার ব্রিগেট
কে কল করে থাকেন। এর
ফলস্বরূপ সরকারকে এক বিশাল অংকের
ব্যয় বহন করতে হয়
এবং অনেক সময় ফায়ার
ব্রিগেড সঠিক সময় যে
পৌঁছাতে পারেনা False Fire Call তাদের মধ্যে একটি
অন্যতম কারণ।
মিথ্যা ফায়ার কলের শাস্তি
False Fire Call Punishment - ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস আইন (Westbengal Fire Service Act) অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি False Fire Call করেছে সেটি প্রমাণ হয় সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি ছমাসের জন্য জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ছমাসের জন্য জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুইটি একই সঙ্গে হতে পারে।সুতরাং সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলা, দমকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মীর অভাব, তাই বিনা প্রয়োজনে ফায়ার কল দেবেন না। তাতে সরকারের ব্যয় যেমন কমবে তেমনি সাধারণ মানুষও দমকল এর সঠিক ব্যবহার করতে পারবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ