আজকের আলোচ্য বিষয় আগুন নেভানোর পদ্ধতি কয়টি ও প্রধানত কত প্রকার। আলোচনার শেষে আশাকরি আপনি একজন ফায়ার ব্রিগেড কর্মী সমান জ্ঞান অর্জন করবেন, কারণ নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ফায়ার সার্ভিসেও অনুসরণ করা হয়।
আগুন নেভানোর পদ্ধতি কয়টি
আগুন নেভানোর পদ্ধতি কয়টি জানার আগে আমাদের জানতে হবে। আগুন লাগার জন্য কোন তিনটি মূল জিনিসের প্রয়োজন যার জন্য আগুন লেগে থাকে এবং নিজের শক্তি বাড়িয়ে থাকে।
আগুন লাগার তিনটি মুখ্য উপাদান হল
- দাহ্য পদার্থ (তেল কাঠ কাপড় ইত্যাদি যার দ্বারা সহজে আগুন লাগে)
- অক্সিজেন এবং
- তাপ
এর মধ্যে কোন একটি উপাদান সরিয়ে নিলে আগুন নিভে যাবে।
আগুন নেভানোর পদ্ধতি প্রধানত কত প্রকার
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত কর্মীরা নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। আগুন নেভানোর প্রধান তিনটি পদ্ধতি হল নিম্নরূপ
- স্টার্ভেশন
- স্মোদারিং
- কুলিং
স্টার্ভেশন পদ্ধতিতে আগুন নেভানো: দাহ্য বস্তু আগুন স্থল (যেখানে আগুন লেগেছে সেখান) থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিলে আগুন কিছুক্ষণের মধ্যে নিজে থেকেই নিভে যাবে। এই পদ্ধতিতে আগুন নেভানো কে স্টার্ভেশন বলে। পূর্বে জানানো হয়েছে দাহ্য বস্তু, অক্সিজেন ও তাপ এই তিনটি উপাদানের মধ্যে কোন একটি উপাদান সরিয়ে নিলে বা আটকে দিলে বা ঠাণ্ডা করে দিলে আগুন নিভে যাবে।
স্মোদারিং পদ্ধতি আগুন নেভানো: অক্সিজেন যদি কোনভাবে আগুন লাগার স্থানে সরবরাহ বন্ধ বা আটকে দেওয়া যায় তাহলে আগুন নিভে যাবে। এই পদ্ধতিতে আগুন নেভানো কে স্মোদারিং বলা হয়। যেমন জ্বলন্ত মোমবাতির ওপর কাচের কোনো পাত্র ঢাকা দিলে দেখবেন অক্সিজেন যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ মোমবাতিটি জ্বলবে তারপর নিভে যাবে।
কুলিং পদ্ধতি আগুন নেভানো: এই পদ্ধতি ফায়ার ব্রিগেডে বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। আমরা জানি আগুন নেভানোর জন্য জল ব্যবহার করা হয়। জল ব্যবহার করার মূল কারণ আগুন কে কুলিং করা। যদি দাহ্য বস্তু অন্যত্র সরানো সম্ভব না হয় বা অক্সিজেন সরবরাহ পথ কোনভাবে বন্ধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে দাহ্য বস্তুর উপর জল দিয়ে তাপ কে ঠান্ডা করার পদ্ধতিকে কে কুলিং পদ্ধতি বলে। ঠিক এই কারণেই আমারা আগুন নেভানোর জন্য জল ব্যবহার করি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ